খাওয়ার কতক্ষন পর ব্যায়াম করা উচিত বিস্তারিত জানুন।
প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো জানতে চাচ্ছেন যে খাওয়ার কতক্ষণ পর ব্যায়াম করা উচিত। আমরা আপনাকে ব্যায়াম সম্পরকিত সকল সঠিক তথ্য দিতে পারব আমাদের ওয়েবসাইটটি থেকে।ব্যায়াম করার অপকারিতা সম্পর্কে জানতে আপনাকে আমাদের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণটা পরতে হবে।
ব্যায়াম হোলো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আপনাকে শারীরিক সমস্যার সমাধান দিতে পারে। নিয়মিত ব্যায়ামের কারনে আপনি শারীরিক বিষয়ে অনেক উপকার পাবেন ।
ভুমিকা
সুস্থ শরীর, রোগমুক্ত , শক্তিশালী থাকতে চাইলে ব্যায়ামের বিকল্প নাই। ব্যায়াম করার মাধ্যমে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সমাধান এবং উপকার পাবেন। মন ফ্রেস ও প্রফুল্ল থাকবে প্রতিদিন ব্যায়াম করলে।
ব্যায়াম করার কৌশল
আমরা সকলেই চাই সবসময় সুস্থ সবল থাকতে। রোগ মুক্ত থাকতে সবাই চাই। কিন্তু এই সুস্থ থাকার জন্য যে কিছু শারীরিক ব্যায়াম করতে হয়, সে কথা আমরা কয়জনে জানি। প্রত্যেকটি মানুষের প্রত্যেকটি কাজের একটা উদ্দেশ্য থাকে। আর এই উদ্দেশ্য পুরন করার জন্য সবাই সেই অনুযায়ী কাজ করে।
আমাদের উদ্দেশ্য হোলো সুস্থ থাকা। আর তার জন্য আমাদের দৈনিক ব্যায়াম করা দরকার। আমরা অনেকেই এই বিষয়ে অবগত নই যে ব্যায়াম করা সাস্থের পক্ষে ভালো। তবে আপনার যদি ব্যায়াম করার বিষয়ে পূর্ব পরিকল্পনা থাকে তাহলে আপনাকে আগে সিওর হতে হবে যে কোন কোন ব্যায়াম গুলি আপনি করতে চান।
আরও পড়ুন ঃ খরগোশ খাওয়া কি হালাল নাকি হারাম জেনে নিন
যদি ভারি কোনো জিনিস ওঠানোর ব্যায়াম করতে চান তাহলে অবশ্যই আগে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত । কারন ভারি কোনো জিনিস ওঠানোর সময় আপনার শরীরের কোথাও আঘাত পেতে পারেন । তাই উচিত হবে আগে ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নেওয়া। আপনি অনেক রকম ব্যায়াম করতে পারেন , যেমন সকালে অথবা বিকালে দৌড়ানো।
তারপর ১০ বার পুসআপ করা, ১০ বার দুই পায়ে লাঞ্চ করা , ১০ বার সিটআপ করা , প্রতিদিন ২০ থেকে ৪০ মিনিত হাটা। ব্যায়াম করার পাশাপাশি আপনাকে পুষ্টিকর খাবার ও খেতে হবে। ফ্রে ংকেনস্তেইনহাটা, এই বেয়ামটি করার জন্য ২ হাতকে সামনের দিকে প্রসারিত করে পায়ের কাছে নিতে হবে।এই বেয়ামের কারনে শরীরের ওজন কমানো যাই।
তারপর হিপসারকেল, এই বেয়ামটি করার জন্য একটি খোলা জাইগা প্রয়োজন। তারপর উপুর হয়ে দান পা বাম পা উপরের দিকে তুলে ঘরাতে হবে । এতে করে শরীরের চর্বি কমে । তারপর হিপ মারচিঙ্গ , এই ব্যায়াম করার জন্য একটি চেয়ারে বসে ২ পা নারাতে হবে । তাহলে এতে করে শরিরের বারতি ওজন কমানো যাবে ।
আপনি এইভাবে নানান রকম ব্যায়াম করে নিজের শরীরের যত্ন নিতে পারেন ।
এবং সুস্থ থাকতে পারেন ।
সবচেয়ে উপকারী
ব্যায়াম কোনো ব্যায়াম ই শরীরের পক্ষে খারাপ না । সকল ব্যায়ামই শরীরের জন্য কার্যকরী। তারমদ্ধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম আছে যেগুলো শরীরের জন্য খুবি প্রয়োজন এবং গুরুত্বপূর্ণ।যেমন, প্রথমে হাঁটু
ভাজ করে বসুন , এবার দুই হাত দুই হাটুর ওপর রাখুন। তারপর দুই হাতের পাতা যোড়া করে উপরের দিকে তুলুন এবং শ্বাস নিতে থাকুন।
তারপর শ্বাস ছারতে ছারতে আস্তে করে মাথাটা নিছের দিকে নামান।এই ব্যায়ামটি নিয়মিত করলেশরীরের রক্ত সঞ্চালন ভালো হই এবং লম্বা হতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কয়েক মাইল দৌড়ান
এতে করে শরীর পাতলা হবে এবং পায়ের রগ গুলা ভালো থাকবে , যার ফলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে।
আমরা ২ টা সবচেয়ে উপকারি ব্যায়াম সম্পর্কে আজ জানবো। প্রথম উপকারি ব্যায়াম হোলো প্রথমে লম্বা হয়ে মেঝেতে শুয়ে পরুন। তারপর ২ হাঁটু ভাজ করে নিন, এবং দুই হাত ভাজ করে মাথার পেছনে নিন।
তারপর শরীরের অপরের অংশ এমনভাবে অপরের দিকে তুলুন যাতে করে পেতে চাপ পরে, এবং সাথে সাথে আবার অপরের অংশ নামিয়ে নিন । এভাবে ১০ থেকে ১২বার করেত থাকুন প্রতিদিন।এর ফলে
পেটের এবং পিঠের উপরিভাগের চর্বি কমে যাবে ।
সারা দিন ব্যায়াম করার থেকে সকালে ব্যায়াম করা সবথেকে ভালো। কারন সকালে ব্যায়াম করলে সারাদিন শরীর ফিট থাকে।এইভাবে উপকারি ব্যায়ামগুলো নিয়মিত করতে থাকে শরীর ফিট থাকে এবং
সুস্থও থাকা যাই।
খাওয়ার কতক্ষন পর ব্যায়াম করা উচিত
শরীরের শক্তি সঞ্চয়ই এবং সুস্থও থাকতে ব্যায়াম করা দরকার। ওয়ার্ক আউট কে জালানি দেওয়ার জন্য শক্তির প্রয়োজন হয় ।
ব্যায়াম করার আগে অল্প করে হাল্কা জাতিও খাবার খেয়ে নেওয়া ভালো, যেমন ফলমূল, কলা , রুটি ইত্যাদি।
বেশি করে খাওারপর , ভরা পেটে ব্যায়াম করা ঠিক না এতে করে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। পেটে চাপ লাগতে পারে এবং পেটের সমস্যার দেখা দিতে পারে । তাই ভরা পেটে ব্যায়াম করা উচিত না।আমাদের
খাবার খাওয়ার পর সেই খাবার পাকিস্থলি থেকে ছোট ছোট অন্ত্রে পৌছাই । আর এর জন্য ২ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় লাগে।
যদিও খাবার সম্পূর্ণ হজম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা না করলেও চলে।
তবে একদম ভরা পেতে ব্যায়াম করা ঠিক না । বিশেষজ্ঞদের মতে পেটের সমস্যা রোধ করার জন্য আনুমানিক ১ থেকে ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করা উচিত । এবং হাল্কা জল খাবারের জন্য ৩০ মিনিট অপেক্ষা করা দরকার।
ব্যায়াম করার উপকারিতা
তাই এসব নিয়ম মেনে ব্যায়াম করতে হবে , তা নাহলে শরীরের অনেক সমস্যার দেখা দিতে পারে ।
নিয়মিত ব্যায়াম করলে কখনই শরীরের জন্য খারাপ হবে না । যেনে নি ব্যায়াম করার উপকারিতা সম্পর্কে । নিয়মিত ব্যায়াম করার কারনে রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
ব্যায়াম করার কারনে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাই ।
এবং সাস্থ ঠিক রাখা ও বডি ফিটনেস ঠিক রাখা যায়। যেমন, আমাদের সবচেয়ে বড় ধরনের রোগ হৃদরোগ।
ব্যায়ামের কারনে এই ভয়ানক হৃদরোগের থেকে মুক্তি পাওয়া যাই। তারপর উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের সাথে আরও অনেক রগের ঝুকি কমাই। আপনি যদি বাড়িতে কাজ করেন এর মাধ্যমেও আপনার ব্যায়াম হয়।
এই পরিশ্রম ও ব্যায়ামের কারনে শরীর থেকে ঘাম বের হয়, এবং এর কারনে শরীর থেকে চর্বি, মেদ কমে যাই। এতে করে শহনসক্তিও বৃদ্ধি পাই। ব্যায়াম করার কারনে শরীর থেকে অনেক রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়।
যার কারনে মন ফ্রেস থাকে সব কাজে মন বসে । মেজাজ খারাপ থাকে না । সুস্থতা হোলো মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু যদি শরীরের অনেক ওজন বেরে যাই তাহলে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পরে ।
আর ব্যায়ামের কারনে শরীর অতিরিক্ত ওজন নিওন্ত্রনে করা যাই । অতিরিক্ত ওজন কমাতে ব্যায়ামের বিকল্প নাই। প্রায় মানুষের একটা মেজর প্রবলেম থাকে , সেটা হোলো রাতে ঘুম না হওয়া ।অনেকের অনেককারনে ঘুম হয় না , কেও আবার ঘুম না হওার কারন খুযে পাই না । কারো মানসিক অসান্তি,কারোফ্যামিলি সমস্যা।
অনেকের অনেক সমস্যার কারনে রাতে ঘুম হয় না । যদি কেও প্রতিদিন ২০ মিনিট করে হাটে।তাহলে
তার রাতে ঘুম ভালো হয়। যারা নিয়মিত ২০ মিনিট করে হাটে তাহলে তার ৫০ শতাংশ মানসিক চাপ থাকে না । গবেষণায় দেখা গেছে যে মানুষের শরীরে স্ট্রেস করটিসোল নামে একটা হরমন নিঃসরণ হয়।
যার কারনে মানুষ সমস্যার সম্মুখিন হয়। ব্যায়ামের কারনে এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যাই। তাই ব্যায়াম কখনই মানুষের শরীরে খারাপ প্রভাব নিয়ে আসেনা । নিয়মিত ব্যায়াম করলে উপরক্ত উপকার গুলো পাবেন ।
ব্যায়াম করার অপকারিতা
ব্যায়াম শরীরের পক্ষে অবশ্যই ভালো। কিন্তু আমাদের একটা কথা মাথাই রাখা উচিত যে, কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো না। অতিরিক্ত কোনো কিছুর কারনে এর বিপরিত প্রভাব পরতে পারে ।অতিরিক্ত ব্যায়ামের কারনে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পরে ।
কোন কোন ক্ষতিকর প্রভাব গুলো পরে সেগুলো হোলো , শরীরের পেসি বেথা করে, শরীরে ক্লান্তি চলে আসে, মেজেজ খারাপ হয়ে যাই।এছাড়াও আরও অনেক সমস্যা হয় যেমন, রক্তচাপ বেড়ে যায় এবংহৃদপিণ্ডের সমস্যা হয়ে যায়। অতিরিক্ত পরিশ্রম এর কারনে কর্ম ক্ষমতা কমে যাই।তখন কোনো
কাজেই আর মন বসে না ।
যদি অতিরিক্ত পরিশ্রম হই তাহলে তা কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজে নিজেই বোঝা যাই। যেমন, সাইকেল চালানো, দৌড়ানো তারপর সাতার কাটার সময় যদি বুঝতে পারেন যে আপনার কর্মক্ষমতার ঘাটতি হচ্ছে ।তাহলে বুঝবেন যে আপনার অতিরিক্ত পরিশ্রম হয়ে যাচ্ছে ।
আর এর কারনে শরীরের সমস্যার দেখা দিবে । তাই আমাদের উচিত পরিমানের চেয়ে বেশি ব্যায়াম না করা । এতে শরীর ও ঠিক থাকবে এবং ব্যায়াম করেও আনন্দ পাওয়া যাই।
লেখকের মন্তব্য
সুস্থ শরীর ও বডি ফিটনেস ঠিক রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করা খুবি গুরুত্বপূর্ণ। এবং রোগ প্রতিরধে ব্যায়াম করা অবশ্যই সকলের জন্য প্রয়োজন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং সুস্থ শক্তিশালী দেশ গড়ে তুলুন।
আমাদের পোস্টটি থেকে যদি কোনো প্রকার উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের পোস্টটি অবশ্যই সেয়ার করে দিবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url