কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
প্রিয় পাঠক কলা একটি অত্যন্ত উপকারী এবং পুষ্টিকর খাবার । আপনি হয়তো কলা সম্পর্কে এবং কলা খাওয়ার উপকারিতা ও ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন । আপনি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে কলা খাওয়ার উপকারিতা এবং উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন । এর জন্য আপনাকে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে ।
পোস্ট সূচীপত্র ঃ এই পোস্টের বিভিন্ন অংশ পড়তে নিচে ক্লিক করুন ।
- ভূমিকা
- কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- কলা খাওয়ার উপকারিতা
- কলার খাওয়ার অপকারিতা
- কলার ক্ষতিকর দিক
- রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা
- সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা
- লেখক এর মন্তব্য । কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
এছাড়াও কলা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আর্টিকেলটি থেকে আপনি জানতে পারবেন । কলা খেলে কি হয়, এবং কলা খাওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি সে সকল বিষয়ে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে ।
ভূমিকা
অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং মানসম্মত এই উপকারি ফলটি আমরা সকলে চিনি । আমাদের
সকলের পরিচিত একটি ফল । আমরা প্রতিনিয়ত কলা খেয়ে থাকি । তবে কলার যে
উপকারিতা রয়েছে এবং কলার অপকারিতা রয়েছে তা হয়তো আমরা সকলে
জানি না । তবে আপনি আপনি যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
পড়েন তাহলে জানতে পারবেন কলা খাওয়ার উপকারিতা ।
এবং কলা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক গুলো কি কি । এছাড়া আরো জানতে পারবেন রাতে কলা
খাওয়ার উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা এবং সকালে কলা খাওয়ার
উপকারিতা সম্পর্কে । বুঝতেই পারছেন কলা একটি উপকারী ফল/খাবার
। চলুন দেরি না করে করা সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক
।
কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কলা খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন । আমরা ছোট থেকে বড় সকলেই এই ফলটির সাথে পরিচিত । প্রায় আমরা কলা খেয়ে থাকি, কিন্তু কলাখাবার নাকি অপকারী খাবার তা কিন্তু আমরা সকলে জানি না । আবার অনেকে মনে করেন কলা একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং উপকারী খাবার ।
আরও পড়ুন ঃ ওজন কমাতে লেবু পানি খাওয়ার নিয়ম বিস্তারিত জেনে নিন
আসলে কি কলা উপকারী খাবার নাকি অপকারী খাবার চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া
যাক ।
কলা খাওয়ার উপকারিতা
কলা একটি পুষ্টিকর এবং উপকারী খাবার । কলা খাওয়ার ফলে মানুষের
দেহে আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয়ে যায় । কলাতে থাকে প্রচুর পরিমাণ
আয়রন এবং ভিটামিন সি এর উপাদান । কলাতে এই ভিটামিন সি এর উপাদান থাকার
কারণে মানবদেহে ইমিউন সিস্টেমে উন্নত করে তোলে । এছাড়া
বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে থাকে ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
কলা খাওয়ার ফলে মানব দেহে রোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় । কারণ কলা একটি
স্বাস্থ্যকর এবং উপকারী ফল । শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পেতে
সাহায্য করে । এবং শরীর সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে ।কলা খাওয়ার
ফলে প্রতিটি মানব দেহকে ভালো এবং সুরক্ষিত রাখতে এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ
করে ।
ত্বকের সুরক্ষায় কলা
UV- এর দ্বারা যদি মানুষ আক্রান্ত হয় তবে সানস্ক্রিন এর জন্য কলা খুবই জরুরী । কারণ এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়ক হিসেবে কাজ করার কলা । কলাতে থাকে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে সুরক্ষিত এবং সুন্দর রাখতে সাহায্য করে । এবং ত্বক উজ্জ্বল ও কমল করে তোলে ।
হৃদরোগে কলা
কলাতে প্রাথমিক উপাদান হিসেবে যে জিনিসটা থাকে তাহলে পটাশিয়াম । পটাশিয়াম
হৃদপিণ্ডের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান । হৃদপিণ্ড সুস্থ
রাখতে এবং রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করে ।এছাড়াও কলাতে
থাকে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রোলাইট ( ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম
) ইত্যাদি । যা দেহের ইলেকট্রোলাইট কে সঠিকভাবে বিদ্যুৎ
পরিবহন কত সাহায্য করে ।
ওজন হ্রাস
আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনের অধিকারই হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কলা খেতে
পারেন । কারণ অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করবে কলা । মানুষ যখন মিষ্টি
জাতীয় খাবার খায় তখন তার দ্রবণীয় তন্ত্র হজমশক্তি কমিয়ে তোলে , এবং
একজন মানুষকে পরিপূর্ণ করে তোলে । এছাড়া একটি কলাতে থাকে প্রায় ১০০ ক্যালোরি
।
আরও পড়ুন ঃ প্রতিদিন কয়টি করে খেজুর খাওয়া উচিত
শারীরিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি
আমরা অনেক সময় দেখি যে কোন কাজে মন বসে না । অনেকে গম্ভীর
ভাবে মনমরা হয়ে বসে থাকে ।শারীরিক কোন কাজ করতে ইচ্ছে করে না । এর
জন্য কলা খাওয়ার জরুরী । কলাতে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ শক্তি এবং
ক্যালরি । যা দেহের শারীরিক কর্মক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে তোলে
। এবং শারীরিক কাজকর্ম আগ্রহী করে তোলে ।
কিডনির জন্য কলা
একটি সুইডিশ গবেষণায় দেখা যায় যে বিভিন্ন শাক সবজি খাওয়ার পাশাপাশি
কলা রেনাল স্বাস্থ্যের উপর অতিরিক্ত বেশি প্রভাব ফেলে । যা কিডনির বিভিন্ন
সমস্যার থেকে সমাধান দিয়ে থাকে । কিডনি সুস্থ রাখতে
এবং সঠিকভাবে কিডনির কাজ পরিচালনা করতে সাহায্য করে এই কলাতে
থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট । কলাতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এবং
পটাশিয়াম কিডনির উপকারে বিশেষভাবে কাজে লাগে ।
কলার খাওয়ার অপকারিতা
যেকোনো জিনিসের উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা থাকে । তবে উপকারী যে সকল উপাদানগুলো রয়েছে সে সকলের উপাদানের অপকার তখনই দেখা যায় যখন উপকারী উপাদানটির পরিমাণ অতিরিক্ত বেশি হয়ে যায় । এর মানে হলো মনে করেন, আপনি নিয়মিত কলা খান। এটি অবশ্যই একটি উপকারী খাবার ।
তবে যদি আপনি অতিরিক্ত মাত্রায় উপকারের আসে কলা খেয়ে নেন । তাহলে এর
উপকারের চাইতে অপকারের দেখা আগে মিলবে । এজন্য
যেকোন উপকারী খাবার খাওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে তা যেন
অতিরিক্ত মাত্রায় না হয়ে যায় । অর্থাৎ পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার গ্রহণ করতে হবে । তবেই তার আসল উপকার মিলবে ।
কলাতে থাকা এমনো এসিড টাইরোসিন শরীরে টাইরামিনে এ রূপান্তরিত হয়
। আর এই টাইরামিনের কারণে মাথাব্যথা সৃষ্টি হয় । এর
জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খাওয়া উচিত নয় ।উপকারের আশায় খেয়ে
যদি উপকারী পাওয়া না যায় তাহলে তা খাওয়া অবশ্যই সঠিক নয় ।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন কলার অপকারিতা সম্পর্কে । উপরে জেনেছেন কলার উপকারিতা
সম্পর্কে । বুঝতে পারছেন কলার অপকারিতার চাইতে উপকারিতা বেশি ।
এ থেকে আমরা বলতে পারি কলা একটি উপকারী খাবার । তবে এই উপকারী
খাবার অতিরিক্ত মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে তা অপকারিতা দেখে আনে
।
কলার ক্ষতিকর দিক
কলা একটি উপকারী খাবার তা আমরা সকলে জানতে পেরেছি । তবে কলা যে ক্ষতিকর ও
বটে এটা হইয়ত আমরা সকলে জানি না । কলার বেশ কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে
। এখন করার সেসব ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো । যে
কারণে কলা খাওয়ার ফলে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে ।
আরও পড়ুন ঃ ছোলা বাদাম কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
কলা খাওয়ার বেশ কয়েকটি ক্ষতিকর দিক রয়েছে । কলার যেসকল ক্ষতিকর দিকগুলো
রয়েছে সেগুলো হল ঃ
- ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- শ্বাস জনিত সমস্যা
- পেটব্যথা
- গ্যাস
- দাঁতের ক্ষয়
- ওজন বৃদ্ধি
- মাইগ্রেন
রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা
আগেকার একটি প্রচলিত কথা আমরা সকলে শুনে আসি, যে রাতে কোন ফল খেয়ে
ঘুমাতে হয় না ।বর্তমানে এটাকে একটি নিয়ম হিসেবে ধরে
নিয়েছে সমাজের মানুষজন । তবে এই প্রচলিত কথাটি একদমই সঠিক নয়
। কারণ ফল হলো একটি উপকারী খাবার । যা খাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন
প্রকার ভিটামিন উৎপন্ন হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
।
তবে কলার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা । কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন
এবং খনিজ সমৃদ্ধ । যার শরীরে বিভিন্ন প্রকারে কাজে লাগে । পুষ্টি
বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী জানাযায় কলা অত্যন্ত একটি উপকারী খাবার
। তবে আমরা সকলে জানি কলা ঠান্ডা জাতীয় খাবার । যাদের
সর্দি, কাশি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কলা না খাওয়ায়
উত্তম ।
কলা খাওয়ার ফলে দেহের বিভিন্ন ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয়ে যায়
। এবং আলসারের সমস্যা থেকে সমাধান পেতে আপনি কলা খেতে পারেন
। এছাড় পাকস্থলির এসিড নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষভাবে ভূমিকা
রাখে কলা । একটি পরিমাণ মত বড় সাইজের কলাতে থাকে ১০০ ক্যালরি
। এবং একটি বড় সাইজের কলাতে থাকে ৪৮৭ ,মিলিগ্রাম পটাশিয়াম
।
প্রাপ্তবয়স্কদের দেহের ক্যালোরির চাহিদা সঠিকভাবে সরবরাহ
করতে প্রয়োজন একটি বড় সাইজের কলা । তবে অনেকেই রয়েছে
যারা রাতের বেলায় মিষ্টি খেতে ইতস্তত বোধ করেন । তাদের
জন্য উপকারী এবং সঠিক খাবার হচ্ছে কলা । কারণ কলাতে
থাকে মিষ্টি জাতীয় উপাদান । যদি প্রতিদিন ৫০০ ক্যালরি পেতে চান
তাহলে প্রতিদিন রাতে কলা খান এবং তার সাথে এক কাপ দুধ ।
এক কাপ দুধ এবং দুটি কলা খেলে পারে আপনার শরীরের সঠিক
পরিমাণ ভিটামিনের এবং ক্যালোরির চাহিদা পূরণ হবে । এজন্য প্রতিদিন
রাতে ঘুমানোর আগে এক কাপ দুধের সাথে দুটি করে কলা খেয়ে নিতে পারেন । এতে
করে বিশেষ উপকার লাভ করবেন । আশা করি রাতে কলা খাওয়ার ফলে উপকৃত হবেন
।
সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা
কলা একটি উপকার খাবার তা আমরা ইতিমধ্যে উপরের দিকে জানতে পেরেছি
। এছাড়াও আমরা সকলে জানি যে কলা একটি পুষ্টিকর খাবার । কলাতে
রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম । যা
দেহের বিভিন্ন উপকারে কাজে আসে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।
আমরা প্রতিনিয়ত কলা খেয়ে থাকি কিন্তু কলা খাওয়ার সঠিক সময় বা সঠিক নিয়ম
সম্পর্কে হয়তো আমাদের সকলের সঠিক ধারণা নাই । কেউ যদি প্রতিদিন
সকালে কলা খায় তাহলে উপকৃত হবে নাকি উপকৃত হবে না চলুন এ
বিষয়ে আরো বিস্তারিত জেনে নিই ।
বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী জানা যায় যে কলা উপকারী খাবার
হলেও তা সকালে খাওয়া উচিত নয় ।কারণ কলাতে থাকে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ
, যা দেখতে আসার মত । এই উপাদানটি শর্করা বৃদ্ধি করতে
সাহায্য করে । এজন্য যদি কেউ খালি পেটে কলা খায় তাহলে হঠাৎ করেই
শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে । এবং এর কারণে শরীরে
ক্লান্তি অনুভব হয় ।
আরও পড়ুন ঃ দুধের সর দিয়ে ঘি বানানোর রেসিপি-রূপচর্চায় ঘি এর ব্যবহার
এজন্য আমাদের উচিত সকালে বাসি পেটে কলা না খাওয়া । কারণ উপকারী খাবার
খাওয়া হয় উপকারের জন্যই । যদি উপকারের আশায় কলা খেয়ে উপকার না পাওয়া
যায় তাহলে তা খাওয়া মোটেও উচিত নয় । এজন্য আমাদের উচিত সকালে খালি পেটে
কলা না খাওয়া । কলা খাওয়ার সঠিক সময় হল শরীর চর্চা কিংবা
ব্যায়াম করার আগে । তাহলে এর সঠিক উপকার পাওয়া যাবে ।
আশা করি বুঝতে এবং জানতে পারলেন যে সকালে কলা খাওয়া উপকারী নাকি অপকারী
। অবশ্যই সকালে খালি পেটে কলা খাওয়া উপকারী নয় । বরং এটা
আমাদের জন্য ক্ষতির প্রভাব ফেলতে পারে ।
লেখক এর মন্তব্য । কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠকগন এই
আর্টিকেলটি সম্পূর্ণটাই কলা সম্পর্কে লেখা হয়েছে । এই
আর্টিকেলে কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কলার ক্ষতিকর
দিক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে । আশা করি আর্টিকেলটি ভালো
লেগেছে এবং আর্টিকেলটি পড়ে কলা সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে
পেরেছেন ।
আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লাগে এবং এখান থেকে যদি কোন উপকার পেয়ে থাকেন
তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি অন্যের কাছে শেয়ার করবেন । আশা করি ভালো
থাকবেন । আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু
।
অনেক সুন্দর একটা পোস্ট । ধন্যবাদ আপনাকে