বাংলাদেশ বিমানের আন্তর্জাতিক রুট কয়টি বিস্তারিত জানুন
প্রিয় বন্ধুগণ, আপনি হয়তো একজন বিমানযাত্রী । অথবা বিমান আপনার পছন্দনীয় একটি যাত্রা বাহন ।আপনি হয়তো জানতে চাচ্ছেন বিমানের আন্তর্জাতিক রুট সম্পর্কে । তাহলে আপনি ধরে নিন আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন । আজকের এই আর্টিকেলটিতে বাংলাদেশ বিমানের আন্তর্জাতিক রুট কয়টি তা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ।
যে সকল যাত্রী বিমান ট্যুর করতে চান , তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ।কারণ আজকের এই আর্টিকেলে বিমান যাত্রা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।
পোস্ট সূচিপত্র ঃ এই পোস্টের বিভিন্ন অংশ পড়তে নিচে ক্লিক করুন ।
- বাংলাদেশ বিমানের ড্রিমলাইনার কয়টি
- বাংলাদেশ বিমানের আন্তর্জাতিক রুট কয়টি
- বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ড্রিমলাইনার নাম কি
- শেষ কথা
বাংলাদেশ বিমানের ড্রিমলাইনার কয়টি
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশের বাংলাদেশের এয়ারলাইন্সের বহরি যুক্ত
হয়েছে ৭৮৭ ড্রিম লাইনার উড়োজাহাজ । তার মধ্যে সারা বিশ্বের
সর্বাধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা সম্মিলিত চতুর্থ এবং শেষ বোয়িং ছিল
৭৮৭ টি । ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ঃ৪০ মিনিটে আন্তর্জাতিক
শাহজালাল বিমানবন্দরে চতুর্থ ড্রিমলাইনার অবতরণ করে ।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক শাহজালাল বিমানবন্দরে চতুর্থ ড্রিম লাইনার অবতরণ
করার পর মোট উড়োজাহাজ বিমানবরে যুক্ত হয়েছিল ১৬ টি । এরপর দেশে
পৌঁছালে ড্রিমলাইনারকে ওয়াটার ক্যানন স্যালুট করে স্বাগত জানানো হয় । এ
সময় বিমান ব্যবস্থাপনায় বিশেষ বিশেষ কিছু লোক সেখানে উপস্থিত ছিলেন ।
৪র্থ ড্রিমলাইনার " রাজহংস " একটানা ১৫ ঘন্টা করার পর সিয়াটল হতে সরাসরি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে । যখন চতুর্থ ড্রিমলাইনার রাজহংস ঢাকার আন্তর্জাতিক শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে তখন বিমানের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব ) মোহাম্মদ ইনামুল বারি এর নির্দেশে একটি প্রতিনিধি দল তৈরি হয় ।
বাংলাদেশের বিমান বহরে মোট ২১ টি উড়োজাহাজের মধ্য হতে ছয়টি
প্রশস্ত বডির ৭৭৮ টি ড্রিমলায়নার আর উড়োজাহাজ রয়েছে । বাংলাদেশের
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ড্রিমলাইনার বোয়িং ৭৮৭ -
৯ এই সিরিজের দুইটি উড়োজাহাজ উদ্বোধন করেন । প্রথমটি ছিল "সোনার
তরী" এবং অপরটি ছিল " অচিন পাখি" ।
বাংলাদেশ বিমানের আন্তর্জাতিক রুট কয়টি
২১ টি আন্তর্জাতিক বিমান রুট বেড়ে এখন ২৫ টি করা হয়েছে
। এবং এদের প্রথম গন্তব্যস্থল ঢাকা থেকে জাপানের নারিতায়
। বিমানের রুট বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে বিমানের সক্ষমতা । বিমান
কর্মকর্তারা প্রকাশ করেন বিমান বহরে নিজস্ব উড়োজাহাজ রয়েছে ১৮টি, এর মধ্যে
লিজে আছে তিনটি । সর্বমোট একত্রে ২১ টি অর্থ ধনিক উড়োজাহাজ রয়েছে বিমান
বহরে ।
আরও পড়ুন ঃ পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে নতুন পাসপোর্ট কিভাবে বানাবো
বাংলাদেশের এয়ারলাইন্স এ বছর আন্তর্জাতিক রুটে ৬ টি রুট নতুন ভাবে
চালু করার পরিকল্পনা নিচ্ছেন । সেই রুট গুলো হল , দিল্লি, ভুটান,
, মালদ্বীপ , গুয়াংজু , হংকং ও কলম্বো । এই ৬ টি নতুন
রুট এবছর চালু করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ
।
বাংলাদেশের বিমান এয়ারলাইন্সের পরিচালক সিইও শফিউল আজিম জানিয়েছেন
যে, দেশের মানুষের চাহিদা এবং আশা-আকাঙ্ক্ষাই জন্ম দিয়েছে বিমানের
। সে আশা-আকাঙ্ক্ষাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিমান আজ দেশের মানুষকে এক
প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে । এই স্বপ্নটি
স্বপ্নটি বাস্তবায়ন হয় ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারি ।
বাংলাদেশের গর্ব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিনি নিজ হাতে এ
প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন । সরকার কর্তৃক বিমান বাহিনীর দেওয়া একটি
ডিসি-৩ এয়ারক্রাফটের মধ্য দিয়ে এ যাত্রা শুরু হয় । এবং ১৯৭২
সালের ৭ মার্চ সর্বপ্রথম চট্টগ্রাম ও সিলেটে এবং ৯ মার্চ যশোরে ফ্ল্যাটের
মাধ্যমে বিমান আকাশে যাত্রা শুরু করে ।
বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ড্রিমলাইনার নাম কি
বাংলাদেশের এয়ারলাইন্স বিমান বহরে যুক্ত হয়েছে ৪র্থ প্রজন্মের নতুন বোয়িং
৭৮৭ লাইনার উড়োজাহাজ " আকাশবাণী " । বাংলাদেশ বিমান
বহরে প্রথম আকাশবাণী উড়োজাহাজটি যুক্ত হয়ে বিমান
বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়ালো মোট ১৫ টি । সর্বপ্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা এই উড়োজাহাজটির উদ্বোধন ঘটান ।
তাহলে বুঝতে পারছেন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ড্রিম লাইনার এর নাম
" আকাশবাণী " । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ সেপ্টেম্বর প্রথম
ড্রিম লাইনার আকাশবাণীর উদ্বোধন করবেন । প্রথম উদ্বোধনী ড্রিম
লাইনারটি ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে । ড্রিম
লাইনারটি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে অবস্থান করবে ।
আরও পড়ুন ঃ ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ কতদিন
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমান বহরে ১ সেপ্টেম্বর ড্রিমলাইনারের প্রথম ফাইট
উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । এ তথ্য জানান বাংলাদেশ
বিমান এয়ারলাইন্সের মহা ব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ । এবং তিনি আরো জানান যে
প্রথম রুটে যে ফ্লাইটটি যাত্রা শুরু করবে তার নাম হচ্ছে আকাশবাণী ।
এই বিমানটি প্রাথমিকভাবে ঢাকার থেকে সিঙ্গাপুর যাত্রা করবে এবং ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে । প্রথম রুট আকাশবানির আসন সংখ্যা ২৭১ টি । এর মধ্যে বিজনেস ক্লাসে রয়েছে ২৪ টি এবং ইকোনমি ক্লাসে রয়েছে ২৪৭ টি ।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠকগণ , আজকের এই পুরো আর্টিকেলটি ছিল বিমান সম্পর্কিত
। এবং বাংলাদেশ বিমানের আন্তর্জাতিক রুট কয়টি সে
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আর্টিকেলটিতে । আশা করি পুরো
আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে । যদি আর্টিকেলটি আপনার কাছে
ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই তা অন্যের কাছে শেয়ার করুন ।
এবং বিভিন্ন ধরনের পোস্ট পেতে এই ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন । আশা করি ভালো থাকবেন । " ধন্যবাদ " ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url