ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা - ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক
ড্রাগন ফল একটি বিদেশি ফল । তবে বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ড্রাগন ফলের চাষ করা হয় । এর পুষ্টি ও গুনাগুন প্রচুর । আপনি হয়তো ড্রাগন ফলের পুষ্টি এবং উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন । তাহলে আপনি এই আর্টিকেলটি থেকে জানতে পারবেন ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা ।
এছাড়াও আপনি যদি আর্টিকেলটি সম্পন্ন করেন তাহলে ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিকসহ ড্রাগন ফলের আরো অনেক বৈশিষ্ট্য ও এর উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন ।
পোস্ট সূচিপত্র ঃ ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ উপকারিতা এবং ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক বিস্তারিত ।
- ভূমিকা
- ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
- ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
- বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
- ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
- ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক
- লেখক এর শেষ কথা
ভূমিকা
ড্রাগন ফল যদিও বিদেশি একটি ফল কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের
আনাচে-কানাচে এবং বাড়ির ছাদেও ড্রাগন ফলের চাষ করা হয় । খেতে যেমন
সুস্বাদু ঠিক তেমনি এর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা । বাংলাদেশের বাজারগুলোতে
এবং ফলের দোকানগুলোতে প্রায় দেখা যায় ড্রাগন ফলের সমাহার ।
এবং ড্রাগন ফলের গুণ ও এর উপকারিতা রয়েছে বিদ্যামান । আপনি যদি ড্রাগন
ফলের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ আগুন ও উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে চলুন
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়া যাক । এবং ড্রাগন ফল সম্পর্কে সকল তথ্য
জেনে নেওয়া যাক ।
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
দেহের সঠিক পরিমাণ পুষ্টি জোগাতে আমাদের নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার
। তার মধ্যে শাক সবজি এবং ফলমূল দৈনিক খাবারের তালিকায় রাখা উচিত
। পুষ্টিকর এবং ভিটামিন জাতীয় ফলের মধ্যে রয়েছে ড্রাগন ফল । ভিটামিন
সি সমৃদ্ধ এই ড্রাগন ফল । আমাদের দেহের ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করতে
পারে ড্রাগন ফল ।
ড্রাগন ফল সাধারণত সব সময় পাওয়া যায় । কিন্তু বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন
সময়ে ড্রাগন ফল বেশি পাওয়া যায় । ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে সাদা এবং লাল
মাংস জাতীয় উপাদান এছাড়াও ড্রাগন ফল আরো বিভিন্ন জাতের ও বিভিন্ন রকমের
হয়ে থাকে । ড্রাগন ফল খেতে যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমনি এর পুষ্টি ও গুনাগুন
। এছাড়াও এর রয়েছে অনেক উপকারিতা ।
সাদা ড্রাগন ফলের প্রতি ১০০ গ্রামে পাওয়া যায় ৬০ গ্রাম কিলো ক্যালরি । এবং ৯ থেকে ১৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৮ থেকে ১২ গ্রাম চিনি এবং১ থেকে ২ গ্রাম-ডাইটারি পাওয়া যায় এই প্রতি ১০০ গ্রাম সাদা ড্রাগন ফলে । এছাড়াও আরো যে সকল পুষ্টি উপাদান গুলো পাওয়া যায় ১ থেকে ২ গ্রাম প্রোটিন, ১ গ্রাম চর্বি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায় ।
লাল মাংস যুক্ত যে ড্রাগন ফলটি পাওয়া যায় তার মধ্যেও প্রায় সমপরিমাণ পুষ্টি
উপাদান এবং ভিটামিন পাওয়া যায় । তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে এবং সময় ও কালারের
ভেদাভেদে কিছু পরিমাণ পুষ্টি উপাদান কম বেশি হতে পারে । কারণ আবহাওয়া
পরিবর্তনের কারণে ড্রাগন ফলের ভিটামিন ও পুষ্টি কমবেশি হতে পারে ।
আরও পড়ুন ঃ ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতা - ডাবের পানি খাওয়ার নিয়ম
এছাড়া আরো কিছু উপাদান পাওয়া যায় ড্রাগন ফলের মধ্যে সেগুলো হল ঃ
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
- ফাইটো নিউট্রিয়েন্টস
- হাইড্রেশন এবং ইলেকট্রোলাইটস
- কম ক্যালোরি
- ফেবার্টিক সুবিধা ইত্যাদি
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রতিটি জিনিসের ভালো এবং খারাপ দুইটি দিক থাকে । ঠিক তেমনি ড্রাগন ফলের
ক্ষেত্রেও ভালোমন্দ রয়েছে । সেই ভালো-মন্দ গুলো কি চলুন সেগুলো জেনে
নেই এবং আমাদের ড্রাগন ফল সম্পর্কে যে ধারণা তা পরিষ্কার করে নিই ।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ঃ
-
ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, যা মানব দেহের চর্বি
কমাতে, হজম শক্তি বাড়াতে, হৃৎপিণ্ডের সুস্থতার জন্য এবং
কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে ।
-
ড্রাগন ফলে ক্যারোটিন পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ থাকায় ড্রাগন ফল দৃষ্টি শক্তি
প্রখর করে তুলতে সহায়তা করে ।
-
আমাদের শরীরের বিভিন্ন প্রকার বিপাকীয় প্রক্রিয়া কাজ করে । এই বিপাকীয়
প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পাদন করতে সাহায্য করে ড্রাগন ফল ।
-
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে এবং হাড় ও দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে ড্রাগন
ফল ।
-
ড্রাগন ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা আমাদের দেহের ভিটামিন
সি এর ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে ।
-
রক্তের হিমোগ্লোবিনের অভাব পূরণ করে এবং রক্ত বৃদ্ধি করতে ও রক্ত স্বল্পতা
দূর করতে সাহায্য করে ।
-
ড্রাগন ফলে পাওয়া যায় ফাইবার এবং জলীয় অংশ যা দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে
সাহায্য করে ।
-
আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে । এই
এলার্জিজনিত রোগির ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত নয় । কারণ ড্রাগন ফলে
এলার্জি বৃদ্ধি পেতে পারে ।
-
এছাড়াও যে সকল মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং ডায়াবেটিস রোগীর জন্য
ড্রাগন ফল খাওয়া সমস্যা সরুপ । তবে ডাক্তারের পরামর্শ
অনুযায়ী ড্রাগন ফল খেতে পারে ।
-
গর্ভবতী মেয়েদের জন্য ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের
পরামর্শ গ্রহণ করা আবশ্যক ।
-
অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ অতিরিক্ত
খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে ।
-
যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তারা ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে অবশ্যই
ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন ।
বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা
বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে । বিভিন্ন রকম ফলে
যেমন ভিটামিন রয়েছে ঠিক তেমনি ড্রাগন ফলেও প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে
। এ ভিটামিন বাচ্চাদের শরীরে প্রবেশ করলে বাচ্চাদের সুস্থতা এবং রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে । অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক বাচ্চা
পুষ্টিহীনতায় ভোগে ।
এ সকল বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ানো উচিত । কারণ ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন
সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার সহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান । যা বাচ্চাকে পরিপূর্ণভাবে পুষ্টি প্রদান করতে সাহায্য করবে
। এছাড়া বাচ্চাদের ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ড্রাগন ফল
।
আরও পড়ুন ঃ কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
অনেক সময় দেখা যায় ছোট বাচ্চাদের হার্টে সমস্যা দেখা দেয় । বাচ্চাদের এবং
প্রাপ্তবয়স্ক দের হার্টের সমস্যা দূর করতে ড্রাগন ফল খেতে পারেন । এছাড়াও
রক্তশূন্যতা দূর করতে নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত । ড্রাগন ফল খেলে
বাচ্চার সংবেদনশীল দক্ষতা বৃদ্ধি পায় । কারণ এতে রয়েছে সোডিয়াম
ক্যালসিয়াম এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ফসফরাস ।
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
একজন নারী যখন গর্ভবতী হয় তখন তার সকল প্রকার পুষ্টির প্রয়োজন হয় । কারণ
গর্ভের বাচ্চাকে সঠিক পুষ্টি দিতে পারে বাচ্চার মা । যেহেতু বাচ্চার মায়ের
মাধ্যমেই বাচ্চা খাবার গ্রহণ করে তাই বাচ্চার মাকে অবশ্যই পুষ্টিকর ও
ভিটামিনযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে । বিভিন্ন ধরনের ফল ফলাদি খেতে পারে
গর্ভাবস্থায় একজন নারী ।
বাচ্চাকে সঠিক পুষ্টি দিতে গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলা ড্রাগন ফল
খেতে পারে । কারণ ড্রাগন ফলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে । যা
গর্ভবতী মা এবং গর্ভের সন্তানকে সুস্থ রাখতে এবং বিভিন্ন রোগ ব্যাধি থেকে বেঁচে
থাকতে সাহায্য করবে । গর্ভবতী মহিলা নিয়মিত ড্রাগন ফলের জুস করে খেতে পারেন
। কারণ ড্রাগন ফলের জুস খুবই উপকারী ।
ড্রাগন ফলে রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে । এবং রক্তস্বল্পতা দূর করে
। একজন গর্ভবতী মা যখন সন্তান প্রসব করে তখন তার রক্তের প্রয়োজন হয়
। তার এই রক্তের প্রয়োজন মেটাতে পারে ড্রাগন ফল । তাই গর্ভবতী মহিলাকে
নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়ানো উচিত । এতে মা এবং গর্ভের সন্তান দুজনেই সুস্থ
থাকবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি গ্রহণ করতে পারবে ।
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
আমরা তেমনভাবে কোন খাবার নিয়ম অনুযায়ী খায় না । শুধু মাত্র ওষুধ ছাড়া । অন্যান্য খাবারের ক্ষেত্রে তেমন ধরা বাধা নেই । যখন ইচ্ছা হয় তখনই খেয়ে থাকি । ঠিক তেমনিভাবে ড্রাগন ফল খাওয়ারও তেমন ধরা বাধা কোন নিয়ম কানুন নেই । যখন ইচ্ছা যেভাবে ইচ্ছা ড্রাগন ফল খেতে পারেন । অন্যান্য ফল যেভাবে খান সেভাবেই খাওয়া যাবে ড্রাগন ফলও ।
তবে যদি ড্রাগন ফল রাতে ঘুমানোর আগে খেতে পারেন তবে বেশি উপকারিতা পাওয়া যাবে । এছাড়াও সকাল-বিকাল যেকোনো সময় আপনি ড্রাগন ফল খেতে পারেন । ড্রাগন ফল কেটে কিংবা ড্রাউন ফলের জুস তৈরি করে খেতে পারেন । তবে বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী ড্রাগন ফল যদি রাতে ঘুমানোর আগে এবং সকালবেলা খেতে পারেন তাহলে সব থেকে ভালো উপকার পাওয়া যাবে ।
আপনি যদি মনে করেন টমেটো কিংবা শসা যেভাবে সালাদ করে খান ঠিক তেমনি ভাবে
ড্রাগন ফলেরও সালাদ করে খেতে পারেন । এছাড়া অন্যান্য ফলের মত কেটেও খেতে
পারেন । সেটা আপনার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে যে আপনি কিভাবে ড্রাগন ফল খাবেন
। কিন্তু আপনি যেভাবেই খান ড্রাগন ফলের সঠিক উপকার আপনি পাবেন যদি নিয়মিত
খেতে পারেন ।
ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক
ড্রাগন ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী । তবে এর অপকার বা ক্ষতিকর দিকও
রয়েছে । এ ক্ষতিকর দিকগুলো বিবেচনা করে আমাদের ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত
। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন প্রকার চাষাবাদের ক্ষেত্রে ফসলে এবং ফলে
বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয় । এবং বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল
ব্যবহার করে ফসল উৎপন্ন করা হয় ।
ঠিক তেমনিভাবে ড্রাগন ফল অল্প বয়সে বড় করার জন্য রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়
। আমাদের উচিত ড্রাগন ফল খাওয়ার সময় ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার
করে খাওয়া । তা না হলে এখান থেকে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে । ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক গুলো হলো ঃ
-
ড্রাগন ফল খাওয়ার কারণে এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে । যে
সকল মানুষের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ড্রাগন ফল খুব
সতর্কতার সাথে খাওয়া উচিত ।
-
যে সকল রোগের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে
অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে ।
-
গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে
হবে ।
লেখক এর শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুগণ এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
। আর্টিকেলটি পড়ে ড্রাগন ফলের পুষ্টি ও উপকার এবং ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক
সহ আরো অনেক বিষয় জানতে পেরেছেন ।আশাকরি আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে
। ড্রাগন ফল সম্পর্কে ভালো-মন্দ সকল তথ্য জানতে পেরেছেন এই আর্টিকেলটি থেকে
।
আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন এবং
কমেন্টে আপনার মতামত জানাবেন । আশা করি ভালো থাকবেন ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url