বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি বিস্তারিত
বর্তমানে জনপ্রিয় আয়ের মাধ্যম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং । আপনি কি জানেন
? বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি ? আপনি
হয়তো এ বিষয়ে জানেন না বা জানার চেষ্টা করছেন ।তাহলে চলুন এ বিষয়ে
বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক ।
ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি ইনকাম সাইট । যেখানে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করা সম্ভব । কিন্তু আপনাকে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং এর কোন সেক্টরে সব থেকে বেশি ইনকাম হয় বা সব থেকে চাহিদা সম্পন্ন সেক্টর কোনটি ।
পোস্ট সূচিপত্র ঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সবথেকে জনপ্রিয় সেক্টর বিস্তারিত ।
- ভূমিকা
- ফ্রিল্যান্সিং কি
- ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি
- বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
- ফ্রিল্যান্সিং এর কতগুলো সেক্টর আছে কি কি
- ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা কি কি
- লেখকের মন্তব্য
ভূমিকা
বর্তমানে বেকারত্বের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই যাচ্ছে । এই বেকারত্ব দূর
করার জন্য বর্তমানে যুবক যুবতী, তরুণ-তরুণী এবং ছোট থেকে বড় সকলে
ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে ধাবিত হচ্ছে । এর কারণ হলো ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি
ইনকাম সাইট যেখানে নিজের স্বাধীনতা বজায় রেখে নিজের সুবিধা মত অনেক টাকা আয় করা
সম্ভব ।
এবং নিজের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট করার খুব সুন্দর একটি মাধ্যম এই
ফ্রিল্যান্সিং । ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে যে শুধুমাত্র আপনি আপনার
ক্যারিয়ার গোছাতে পারবেন বিষয়টি এমন না । আপনার নিজের পাশাপাশি আপনি
আরো অনেককে ফ্রিল্যান্সিং জগতে তাদের ভবিষ্যৎকে আলোকিত করে তুলতে
পারবেন । তাই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক বিভিন্ন
তথ্য জানতে পারবেন এখান থেকে ।
ফ্রিল্যান্সিং কি
ফ্রিল্যান্সিং হল একটি অনলাইন ইনকামের মাধ্যম । যেখানে আপনি আপনার
স্বাধীনতার সাথে কাজ করতে পারবেন । এবং ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে
আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন । ফ্রিল্যান্সিং
বিষয়টিও চাকরির মতোই । কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এবং চাকরির মধ্যে
পার্থক্য হল আপনাকে যথাসময়ে এটেন্ড হয়ে চাকরি করতে হবে।
কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনাকে নির্দিষ্ট কোন টাইম মেইন্টেন করে কাজ করতে
হবে না । আপনি আপনার সুবিধামতো যেকোনো সময় কাজ করতে পারেন । আপনি যদি
চাকরি করেন তাহলে আপনাকে ধরা বাধা সময় অনুযায়ী চাকরি করতে হবে । এবং
অনেকের অনেক কথা শুনতে হবে । কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এ এরকম কোন ধারণা
নিয়ম নাই ।
সহজ ভাষায় বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং হলো স্বাধীনতা সম্পন্ন একটি অনলাইন ইনকাম
মাধ্যম । এখান থেকে আপনি অনেক উপায়ে , এবং অনেকভাবে অর্থ উপার্জন করতে
সক্ষম হবেন । এবং ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি মুক্ত পেশা । ফ্রিল্যান্সিং
সেক্টরে আপনি আপনার ব্যক্তিগতভাবেও কাজ করতে পারবেন কিংবা একাধিক জন
মিলে ব্যবসার মতো করেও কাজ করতে পারবেন ।
ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি
সারা বিশ্বে এখন দিন দিন ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে । এর কারণ
হলো ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা যেখানে নিজের ইচ্ছামত এবং স্বাধীনভাবে
অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায় ।সারাদেশে এখন আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে
কাজ করার কারণে এ বিষয়টি অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে
।
আমরা যদি আমাদের আশেপাশের দিকে তাকায় তাহলে দেখতে পাবো যে অনেক
যুবক-যুবতী, তরুণ তরুণী নিজেদের লেখা পড়া শেষ করে বেকার ভাবে ঘোরাফেরা
করছে । তারা পর্যাপ্ত লেখাপড়া করার পরেও প্রতিনিয়ত তাদেরকে বেকারত্বের
বোঝা টানতে হচ্ছে । এর কারণ বর্তমান দেশে চাকরির অভাব ।
আরও পড়ুন ঃ ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০ - ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে
আমরা সব সময় চাকরির আশায় থাকি, যে লেখাপড়া শেষ করে কোন একটি চাকরি করব
। কিন্তু বর্তমানে চাকরির বাজারের যে অবস্থা তাতে চাকরি পাওয়া অনেকটাই কঠিন
। তাই বর্তমানে তরুণ তরুণীদের সংখ্যা বাড়ছে ফ্রিল্যান্সিং জগতে
। যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং একটি অনলাইন ভিত্তিক ইনকাম সেহেতু ফ্রিল্যান্সিং এর
ভবিষ্যৎ আরো উন্নত হয়ে উঠবে ।
কারণ বর্তমানে এমন কোন বাড়ি বা এমন কোন ব্যক্তি পাওয়া যাবে না যারা স্মার্টফোন
ব্যবহার করেনা বা কোন বাসাতে স্মার্টফোন নাই । আর এই স্মার্টফোন
এর সম্পূর্ণ সংযোগ ইন্টারনেটের সাথে । যেহেতু আমরা সকলে ইন্টারনেট
ব্যবহার করি এবং বর্তমান যুগ অনলাইনের যুগ সেহেতু ফ্রিল্যান্সিং এর
ভবিষ্যৎ টাও অনেক সুন্দর বা আশানুরূপ ।
কোন ব্যক্তি যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চায় তাহলে আশা করা যায় সে তার
ভবিষ্যতটাকে উজ্জ্বল করে তুলতে সক্ষম হবে । কারণ বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেটের
ব্যবহার যত বেশি হবে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ টা তত উজ্জ্বল এবং উন্নত হবে
। তাই বলা যায় যে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ খুবই সুন্দর এবং
খুবই উজ্জ্বল ময় ভবিষ্যৎ ।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর হলো ডিজিটাল মার্কেটিং
। বিশ্বে যত ফ্রিল্যান্সার রয়েছে তাদের মধ্যে থেকে অধিকাংশই রয়েছে ডিজিটাল
মার্কেটার । ডিজিটাল মার্কেটিং কি ? ডিজিটাল মার্কেটিং হল যেকোন
সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে যেকোনো পণ্য, সেবা
প্রদান, প্রচার-প্রচারণা করার প্রক্রিয়া ।
আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন কিংবা ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে
অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টা কি? ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে
? এবং ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি ? বা কোন
সেক্টরের চাহিদা সব থেকে বেশি এবং মানুষ কোন সেক্টরে সব থেকে বেশি কাজ করে থাকে
।
এই সকল বিষয় সম্পর্কে আগে আপনাকে জানতে হবে । কারণ বর্তমান অনলাইন এর যুগে
বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষ টাকা ইনকাম করে থাকে । তবে এর মধ্যে কিন্তু অনেক
প্রতারকও রয়েছে । যারা ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর নামে বিভিন্নভাবে প্রতারণা
করে থাকে মানুষের সাথে । আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তাহলে অবশ্যই
আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে সম্পূর্ণ সঠিক ধারণা লাভ করতে হবে ।
এবং কোন সেক্টরে কাজ করলে ভালো হবে সে বিষয়ে আগে আপনাকে জানতে হবে । তবে
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা সবথেকে বেশি । কারণ ডিজিটাল
মার্কেটিং এ অল্প সময়ে কাজ শিখে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন
প্ল্যাটফর্ম থেকে আয় করা সম্ভব । এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে
আপনি যেকোনো ধরনের ব্যবসাও করতে পারবেন ।
ফ্রিল্যান্সিং এর কতগুলো সেক্টর আছে কি কি
ফ্রিল্যান্সিং এর অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে । যে সকল সেক্টরে নিজের দক্ষতা
দিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব । বর্তমানে সারা বিশ্বে
ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে । এর মূল কারণ হলো যুবক যুবতীদের
বেকারত্ব । আবার অনেক পেশাজীবী মানুষ রয়েছে যারা তাদের অবসর সময়কে কাজে
লাগে ইনকাম করতে চায় ।
এজন্য এ সকল মানুষগুলো ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে পা বাড়াচ্ছে । মূলত নিজের
স্কিল দিয়ে বা স্কিল অর্জন করে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে টাকা ইনকাম
করা যায় । এখন আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে দক্ষ না হোন কিংবা আপনার যদি
স্কেল না থাকে তাহলে আপনাকে আগে অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করতে হবে ।
কিন্তু আপনি কোন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে চান ? যেকোনো একটি বিষয়ে আপনাকে
ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং সে দক্ষতা দিয়ে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে হবে
। এর আগে একটি বিষয় লক্ষ্য করতে হবে যে বর্তমান সময়ে কোন সেক্টরের
কাজের চাহিদা বেশি । সেই সেক্টরে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে হবে
।
আরও পড়ুন ঃ চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের উপায় জেনে নিন
ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় পাঁচটি সেক্টর সম্পর্কে এখানে আলোচনা করব
। তো চলুন দেখে নিই জনপ্রিয় পাঁচটি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর
।
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
- কনটেন্ট রাইটিং
এই পাঁচটি সেক্টর ফ্রিল্যান্সিং জগতে সবথেকে জনপ্রিয় ইনকাম সাইট
। যেখান থেকে প্রতিমাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব । কিন্তু তার আগে
আপনাকে যেকোনো একটি বিষয় নির্ধারণ করে নিতে হবে এবং সে বিষয়ের উপর আপনাকে
দক্ষতা অর্জন করতে হবে । এরপর আপনি আপনার দক্ষতা দিয়ে কাজ করে টাকা ইনকাম
করতে পারবেন ।
ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং হল অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে
যে কোন পণ্যের প্রচার-প্রচারণা চালানোর মাধ্যম । প্রতিষ্ঠানের কিংবা কোন
পণ্যের বা ব্র্যান্ডের প্রচার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষের মাঝে পৌঁছে
দেওয়ার মাধ্যমে হল ডিজিটাল মার্কেটিং । বর্তমান সময় ডিজিটাল মার্কেটিং
একটি জনপ্রিয় ইনকাম মাধ্যম হয়ে উঠেছে ।
গ্রাফিক্স ডিজাইন
গ্রাফিক্স ডিজাইন হল যেকোনো তথ্যকে সৃজনশীলতা দিয়ে সেটাকে রং
করে, রেখা টেনে এবং বিভিন্ন সেপের মাধ্যমে মানুষের সামনে তুলে ধরা
। অর্থাৎ যে কোন বিষয় কিংবা যে কোন তথ্যকে সুন্দরভাবে ডিজাইন
করে সেটাকে মানুষের মাঝে তুলে ধরা কে গ্রাফিক্স ডিজাইন বলা হয়
। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর বেশ্যার ভাগ তথ্যগুলো মার্কেটিং সম্পর্কিত হয়ে
থাকে ।
তবে মার্কেটিং ছাড়াও এর আরো অন্যান্য সেক্টর রয়েছে । যেমন টি-শার্ট
ডিজাইন, ব্যানার, ইত্যাদি সকল ডিজাইনগুলো রয়েছে বা ডিজাইনগুলো
করা হয় সে সবগুলো গ্রাফিক্স ডিজাইন এর অন্তর্ভুক্ত । এর মধ্যে গার্মেন্টস
সেক্টর টি অন্যতম । কারণ গার্মেন্টসের বিভিন্ন
প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট ইত্যাদি ডিজাইন করা হয় গ্রাফিক্স
ডিজাইন এর মাধ্যমে ।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
ওয়েব সার্ভারে বিভিন্ন তথ্য জমা রাখা হয় । সে সকল তথ্যগুলো ইন্টারনেট এবং
যে সকল ওয়েব ব্রাউজারগুলো রয়েছে সেই ওয়েব ব্রাউজার গুলোর মাধ্যমে দর্শনযোগ্য
করার যে প্রক্রিয়া রয়েছে তাকেই বলা হয় ওয়েব ডেভেলপমেন্ট । বিভিন্ন ধরনের
ওয়েবসাইট তৈরি করা কিভাবে বিভিন্ন প্রকার কোডিং সম্পর্কিত যে সকল কাজগুলো রয়েছে
সে সকল কাজগুলো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর অন্তর্ভক্ত ।
একটি ওয়েবসাইটকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ করে একটি ওয়েবসাইটের
যতগুলো কাজ রয়েছে সকল কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করে ওয়েবসাইট থেকে সুন্দরভাবে
সাজিয়ে লাইভ করা পর্যন্ত যে সকল কাজগুলো রয়েছে একটি ওয়েবসাইটের সে সকল কাজ
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে থাকে ।
মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট হল এক বা একাধিক মোবাইল ডিভাইসের জন্য একটি মোবাইল
অ্যাপ তৈরি করার প্রক্রিয়া । অর্থাৎ আমরা যে সকল অ্যাপ গুলো ব্যবহার করে
থাকি আমাদের মোবাইলে যে সকল অ্যাপ গুলো মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট দ্বারা তৈরি করা
হয় । এই অ্যাপ গুলো একটি মোবাইল অথবা একাধিক মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা
হয় ।
একটি মোবাইল অ্যাপ এর মধ্যে ব্যক্তিগত ডিজিটাল সহকারী ( PDA
) এবং এন্টারপ্রাইজ ডিজিটাল সরকারি ( EDA ) মোবাইল ফোনের
অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে । একটি অ্যাপকে বিভিন্নভাবে সাজিয়ে সেটা মানুষের
ব্যবহারযোগ্য করে তোলা মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর মূল কাজ ।
কন্টেন্ট রাইটিং
কনটেন্ট রাইটিং হল যেকোনো একটি বিষয়ের ওপর নিজের দক্ষতা দিয়ে সুন্দরভাবে
পুরো একটি পোস্ট লিখে মানুষের মাঝে প্রকাশ করা । আমরা গুগল বিভিন্ন বিষয়ে
জানার জন্য সার্চ দিয়ে থাকি । আর মানুষের সুবিধার জন্য বিভিন্ন
বিষয়ে সুন্দরভাবে লিখে সেটা মানুষের মাঝে তুলে ধরাকে কন্টেন্ট রাইটিং
।
কন্টেন্ট রাইটিং হতে পারে ইংরেজিতে কিংবা বাংলাতে । একজন কন্টেন্ট রাইটার
একটি নির্দিষ্ট বিষয় নির্ধারণ করে সে বিষয়ের উপর বিভিন্ন তথ্য মানুষের মাঝে
তুলে ধরে । যাতে করে মানুষ সে বিষয়ে কোন কিছু জানতে চাইলে বা জানার আগ্রহ
প্রকাশ করলে তারা গুগলে সার্চ দিয়ে সে তথ্য সম্পর্কে বিভিন্ন জ্ঞান
পারে বা সমস্যার সমাধান পেতে পারে ।
এ পাঁচটি সেক্টর হল ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে জনপ্রিয় সেক্টর । তবে বর্তমানে সব থেকে চাহিদা সম্পন্ন সেক্টর হল ডিজিটাল মার্কেটিং । এবং সারা বিশ্বের ডিজিটাল মার্কেটার দের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে ।
ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা কি কি
ফ্রিল্যান্সিং এর যে সকল সুবিধা গুলো রয়েছে সেগুলো হলো ঃ
ইনকাম
ফ্রিল্যান্সিং করে একজন ফ্রিল্যান্সার প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয়
করে থাকে । যা একজন চাকরিজীবীর পক্ষে সম্ভব নয় । একজন চাকরিজীবী
বড়জোর মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা সর্বোচ্চ ইনকাম করে থাকে
। কিন্তু একজন ফ্রিল্যান্সার মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করার সমর্থ্য রাখে
।
এবং আপনি ঘরে বসেই প্রতি মাসে এরকম লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারবেন । কিন্তু
আপনি যদি চাকরি করেন তাহলে ঘরে বসেই কিন্তু চাকরি করতে পারবেন না বা আয় করতে
পারবেন না । আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী যত বেশি কাজ করতে পারবেন আপনি
মাস শেষে তত টাকা গুনতে পারবেন । শুধু প্রতি মাসেই নয় আপনি যেকোনো সময়
টাকা ইনকাম করে টাকা হাতে পেতে পারেন ।
এই সুযোগ-সুবিধা টা শুধুমাত্র একজন ফ্রিল্যান্সারের ক্ষেত্রেই সম্ভব
। কিন্তু অন্যান্য পেশাজীবীদের পক্ষে ঘরে বসে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করা
সম্ভব নয় ।
আরও পড়ুন ঃ কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায় বিস্তারিত
স্বাধীনতা
ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি মুক্ত পেশা যা আমি এই আর্টিকেল অনেকবার বলেছি
। ফ্রিল্যান্সিংকে মুক্ত পেশা বলার কারণ হলো আপনি যেকোনো সময়ে আপনার
ইচ্ছামত স্বাধীনভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন । ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন ধারণা
সময় থাকেনা । আপনি হয়তো মনে করবেন পাঁচ মিনিট কাজ করে আপনার ক্লান্ত হয়ে
গেছেন ।
পরবর্তী তে আপনি রেস্ট নিয়ে কিংবা আবার কিছুক্ষণ পর কাজ শুরু করতে পারবেন আপনার
ইচ্ছা মতো । কিন্তু আপনি যখন চাকরি করবেন কিংবা অন্যান্য কাজের সাথে জড়িত
থাকবেন তখন কিন্তু এই স্বাধীনতাটা আপনি উপভোগ করতে পারবেন না । আপনি চাইলেও
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ দিনেও করতে পারেন আবার রাতেও করতে পারেন ।
আপনার যখন সুবিধা মনে হবে এবং আপনার যখন কাজ করতে ইচ্ছা হবে আপনি তখনই এই কাজ
করতে পারবেন । এখানে আপনার কোন বস থাকবে না । আপনাকে বলার মত কেউ থাকবে
না । আপনি আপনার ইচ্ছামত নিজ সময়ে কাজ করতে পারবেন ।
দলবদ্ধ ভাবে কাজ করা
দলবদ্ধভাবে কাজ করার বেশ সুবিধা রয়েছে । যেই কাজ আপনার একার পক্ষে করা কঠিন
হয়ে পড়ে সেই কাজ কিন্তু দলবদ্ধ ভাবে করলে খুব সহজে এবং খুব তাড়াতাড়ি করা
সম্ভব । আর দলবদ্ধভাবে কাজ করলে দেখা যায় যে আপনি যে কাজটি পারবেন না সে
কাজ আর একজন পারবে । আরেকজন যে কাজ পারবে না অন্যজন সে কাজ পারবে ।
আসলে বিষয়টা হলো একজন না পারলেও অন্যজন ঠিকই পারবে । এই মজাটা রয়েছে
দলবদ্ধ ভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে । কারণ সকলের জ্ঞান কিন্তু সমান থাকে না
। কারো বুদ্ধি বেশি থাকে আবার কারো বুদ্ধি কম থাকে । দলবদ্ধ ভাবে কাজ
করলে নিজের দক্ষতা কেউ বৃদ্ধি করা সম্ভব ।
যেকোনো সময় কাজ
এখানে যেকোনো সময় বলতে আমি বুঝিয়েছি বয়সের ব্যবধান । অর্থাৎ
ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি কাজ যা যেকোনো বয়সের মানুষ এই কাজ করতে পারে
। ছাত্র জীবন থেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়
। আবার অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা অন্যান্য কাজের সাথে জড়িত কিংবা
চাকরির সাথে জড়িত ।
সে সকল মানুষগুলোও ফ্রিল্যান্সিং করে থাকে । কারণ হলো ফ্রিল্যান্সিং
একটি স্বাধীন কাজ করার মাধ্যমে এবং যেকোনো বয়সের মানুষদের জন্য কাজ করার সুযোগ
রয়েছে । তাই যেকোনো বয়সের মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবে ।
সুস্থতা এবং অসুস্থতা
আমরা মানুষ, আমরা যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে পড়তে পারি । আমরা অসুস্থ
হয়ে গেলে কিন্তু কাজ করতে পারি না । আমাদের কাজ করার মত শক্তি থাকে না
শরীরে । কিন্তু যখন আপনি অন্যান্য কোন কাজের সাথে জড়িত থাকবেন কিংবা চাকরি
করবে তখন অনেক সময় হয় কি যে অসুস্থ হওয়ার পরও কাজ করতে হয় । কিংবা অফিসে
জয়েন করতে হয় ।
কিন্তু আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং করবেন তখন আপনি অসুস্থ হয়ে গেলে আপনাকে কোন কাজ
করতে হবে না । আবার যখন আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন তখন কাজ শুরু করতে পারবেন
। ফ্রিল্যান্সিং এ বিভিন্ন প্যাসিভ ইনকাম সাইট রয়েছে । যেখানে আপনি
কাজ না করলেও আপনার একাউন্টে টাকা জমা হয়ে যায় । পরবর্তীতে আবার আপনি কাজ
শুরু করতে পারেন ।
কিন্তু অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে আপনি যতক্ষণ কাজ করবেন শুধুমাত্র ততক্ষণই টাকা
পাবেন । আর বেশি ইনকামের ক্ষেত্রে আপনি কিছুক্ষণ কাজ করেছেন হয়তো
বা কিছুদিন কাজ করলেন না কিন্তু যে কয় দিন কাজ করলেন না সে কয়দিনের
টাকাও কিন্তু আপনি পেয়ে যাবেন । এই দুর্দান্ত সুযোগটি শুধু মাত্র
ফ্রিল্যান্সিং এই রয়েছে ।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় বন্ধুগণ আমার আজকের এই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে এবং মনোযোগ সহকারে পড়ার
জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনারা জানতে পেরেছেন বর্তমানে
ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি অর্থাৎ সবথেকে চাহিদা সম্পন্ন
সেক্টর কোনটি । এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানতে পেরেছেন
।
ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি কাজ যেখানে আপনাকে প্রচুর ধৈর্যশীল এবং পরিশ্রমী হতে হবে
। তবেই ফ্রিল্যান্সিং জগতে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন ।
একটি ভাব সম্প্রসারণ আছে "পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি " আমরা যারা
লেখাপড়া করেছি আমরা সকলেই এ ভাব সম্প্রসারণ এর সাথে পরিচিত ।
এ বিষয়টি একজন ফ্রিল্যান্সারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । একজন সফল
ফ্রিল্যান্সার হতে হলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্যশীল এবং পরিশ্রমী হতে হবে
। তাছাড়া আপনি সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন না এবং সাকসেসফুল হতে পারবেন
না । আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের অবশ্যই ভালো লেগেছে ।
এবং ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন । এই আর্টিকেলটি
যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন । এবং এরকম বিভিন্ন পোস্ট
পেতে বা বিভিন্ন তথ্য জানতে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url